ওপারে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের সকালের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ছিল ধূমকেতু এক্সপ্রেস। ভোর ৬টায় ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা ছিল।
ট্রেন চলাচলের এই ভঙুর সময়সূচিই বলে দিচ্ছে কী ধরনের খড়গ নেমে এসেছে ঈদফেরত যাত্রীদের ওপর। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে আজও কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের কাছে ট্রেন বরাবরই পছন্দের বাহন। কিন্তু আস্থার দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও শিডিউল বিপর্যয়ে তা এখন ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে ট্রেন যাত্রীদের কাছে।
এই ট্রেনগুলো যেমনিভাবে দেরি করে রাজশাহী ছাড়ছে, ঠিক তেমনিভাবে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্য থেকে রাজশাহী পৌঁছাচ্ছে। ঈদের পর ফিরতি যাত্রীদের চাপ সামলাতে গিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেন আবারও শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। বেড়েছে দুর্ভোগ।
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস ছিলো রোববার (২৬ আগস্ট)। তাই আগের দিন শনিবার থেকেই মানুষ ফিরছেন কর্মস্থলে। অনেকে বাড়তি দু’একদিন ছুটি নিয়েছেন। এজন্য এখনও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে কর্মস্থলে ফিরতি যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তবে ফিরতি পথে বেশ ভোগান্তিতে পড়ছেন রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের যাত্রীরা। একেতো রাজশাহীতে ট্রেনের কোনো টিকিট নেই। এর ওপর আবার বিলম্বে চলছে ট্রেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিন্টেন্ডেন্ট গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, ছুটি শেষ হয়ে গেলেও যাত্রীদের বাড়তি চাপ কমেনি। ফলে ভেতরে বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই চলছে ট্রেন। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমানো হয়েছে। এর ওপর আগে স্টপেজে পাঁচ মিনিট করে থামতো। কিন্তু যাত্রী চাপ থাকায় এখন ১০/১৫ মিনিট থামতে হচ্ছে। এতেও অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ট্রেনযাত্রায়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অবশিষ্ট যাত্রীরা কর্মস্থলে ফেরার পর সময় সূচি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও আশার কথা জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এসএস/জেডএস