রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দিন চৌধুরী (পিপিএম)।
আটককৃতরা হলেন- শেফালী বেগম (৫০) ও মামুন (৩৫)।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশেষ অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে শেফালী বেগম (৫০) নামের এক মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে পাচারের শিকার ২২ বছর বয়সী এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।
পরে আটককৃত শেফালী বেগম ও ভিকটিমের জবানবন্দী অনুযায়ী কদমতলী এলাকা থেকে মামুন (৩৫) নামের মানবপাচারকারী চক্রের আরেক সদস্যকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, শেফালী বেগম বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ফ্যামিলি বাসার ছদ্মবেশে অসামাজিক কার্যকলাপের ব্যবসা করে আসছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের মাধ্যমে যুবতী মেয়েদের বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত করে নিয়ে এসে জিম্মি করে জোরপূর্বক অসামাজিক কাজে ব্যবহার করতেন।
পরিচয় সূত্রে মামুন উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। প্রথমে ভিকটিমকে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে রাখেন। মামুন হোটেল কক্ষে জোরপূর্বক ভিকটিমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিকটিমকে শেফালি বেগমের হাতে তুলে দেন। শেফালি বেগম ভিকটিমকে তার বাসায় জিম্মি ও মারধর করে নিয়মিত অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন।
আটক শেফালি বেগম ও মামুনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
জেডএস