ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সমুদ্র গভীরে জরিপে সক্ষম জাহাজ সরবরাহ করবে এফএও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
সমুদ্র গভীরে জরিপে সক্ষম জাহাজ সরবরাহ করবে এফএও নিজ মন্ত্রণালয়ে প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু | ফাইল ছবি

ঢাকা: জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার ওরগানাইজেশন (এফএও) ২০২০ সালের মধ্যে অধিক রেঞ্জের একটি মৎস্য গবেষণা ও জরিপ জাহাজ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য গবেষণা, উন্নয়ন ও মৎস্যসহ সমুদ্রসম্পদ আহরণের কাজে এ জাহাজ ব্যবহার করা হবে।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার ওরগানাইজেশনের ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে এফএও-এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি রবার্ট ডুলাস সিম্পসন, বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি (প্রোগ্রাম) নুর আহমেদ খন্দকার, হালিমা নেয়ামত ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (ব্লু-ইকোনমি) তৌফিকুল আরিফ উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈঠকে দেশের ব্লু-ইকোনমি এবং সমুদ্রের তলায় লুকায়িত বিশাল সম্পদ-আহরণের ব্যাপার ছাড়াও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  

এছাড়া বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের কল্যাণে এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতায় প্রণীত প্রকল্পে তারা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী তাদের সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকে এফএও-এর প্রতিনিধিরা মৎস্যখাতের উন্নয়নে জিইএফ ফান্ডে গৃহীত একটি প্রকল্পে প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইলে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চাইলে এফএও-এর পক্ষে তারাও আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতিপূর্বে কেনা সমুদ্র গবেষণা ও জরিপ জাহাজটির সমুদ্রের গভীরে ২০০ ফুটের অধিক পর্যন্ত জরিপের সক্ষমতা না থাকায় সমুদ্রের ৩০০-৪০০ ফুট গভীরে জরিপ ও গবেষণায় সক্ষম একটি ফ্রিগেড সংগ্রহে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এফএও-এর সহযোগিতা চেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।