বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন অধিদফতর, সুন্দরবন একাডেমি, খুলনা প্রেসক্লাবসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে দিবসটি পালন করে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, সুন্দরবন বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সম্পদ। এ বন এতদাঞ্চলের মানুষকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে। তাই সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য এ অঞ্চলের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের আশীর্বাদ উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, ১৯৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড়, সিডর, আইলার মতো প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এ বন আমাদের রক্ষা করেছিলো। এ বন না থাকলে প্রাণহানি আরও বেশি হতো। কিন্তু অনেকেই না জেনে না বুঝে অবৈধভাবে কাঠ কেটে, হরিণ শিকার করে এ বনকে ধ্বংস করছে, এর অনন্য জীববৈচিত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাদের বোঝাতে হবে যে এ বন না থাকলে তোমাদের অস্তিত্বও থাকবে না।
মেয়র বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ বনকে বিদেশি এবং দেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারলে তা এদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি সুন্দরবনে মাস টুরিজমের পরিবর্তে ইকো টুরিজম বাস্তবায়নের জন্য বন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন ট্রাভেলিং এজেন্সির প্রতি আহ্বান জানান।
খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য করেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রফিউল ইসলাম টুটুল, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ।
পরে প্রধান অতিথি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এর আগে সকালে নগরের হাদিস পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
বাংলা দেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/