ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জার্মান প্রতিনিধি দলের খুলনার বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
জার্মান প্রতিনিধি দলের খুলনার বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন

খুলনা: ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মান পার্লামেন্ট সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত এবং জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (কেএফডব্লিউ) কর্মকর্তাসহ ছয় সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খুলনার বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছে।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন সময়ে জার্মান সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প প্রদর্শন করে দলটি।

জার্মান সরকারের অর্থায়নে রায়ের মহল এলাকায় ‘জলবায়ুর প্রভাবে খুলনা মহানগরে স্থানান্তরিত অভিবাসী ও দরিদ্র পরিবার সমূহের অভিযোজিত জীবন জীবিকার উন্নয়নে ছাগল পালন প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সিটি মেয়রসহ আসা প্রতিনিধি দল প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত মাচা পদ্ধতিতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন কার্যক্রম পরিদর্শন করে এবং উপকার ভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে।  

পরে সফরসূচি অনুযায়ী প্রতিনিধি দল মহানগরের সোনাডাঙ্গা এলাকায় এনজিও ফোরাম ট্রেনিং সেন্টারে ছাগল পালন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, জার্মান সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত বড়বাজার-জোড়াগেট সংযোগ সড়ক এবং রূপসা ঘাট ও বাসস্ট্যান্ড আধুনিকায়ন কাজ পরিদর্শন করে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা মহানগরের উন্নয়নে জার্মান সরকার সহযোগিতা প্রদান করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রতিকূলতায় শহরে উদ্বাস্তু মানুষের চাপ বাড়ছে। তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ মহানগরের সার্বিক উন্নয়নে কেসিসিকে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়াও খুলনাকে পরিকল্পিতভাবে সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তুলতে দাতা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ময়ূর নদী দূষণমুক্ত করে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। জার্মানসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহ এগিয়ে এলে কাঙ্খিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিটি মেয়র শহরবাসীর পক্ষ থেকে আসা অতিথিদের হাতে ফুল ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

এসময় ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া রুথ, পার্লামেন্ট সদস্য প্রফেসর ড. মাথিসজিমার, ড. ফ্রিথজফ স্কামিডট, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহল্টজ, জিআইজেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাঞ্জেলা ফ্লিডারম্যান, কেএফডব্লিউ’র আরবান সেক্টর স্পেশালিস্ট মেহেদী আহসান, কেসিসির প্যানেল মেয়র মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না, মো. আলী আকবর টিপু, মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাস, শেখ মোশারফ হোসেন, সচিব মো. আজমুল হক, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিজ, লিয়াকত আলী খান, মশিউজ্জামান খান, চিফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, সহকারী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হোসেন, জিআইজেডের অ্যাডভাইজার মো. আতিয়ার রহমান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী, প্রকল্প পরিচালক ডা. অরুন কুমার সিনহা, প্রকল্প ম্যানেজার শরিফুল আলম লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।