সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ট্রলারগুলো কক্সবাজার ৬ নম্বর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটসহ আশপাশে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ১৪টি মাছধরার ট্রলারসহ ৫৭ জেলেকে টেকনাফের সাগর এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। জেলেদের জিম্মি করে তারা মোটা অংকের টাকা দাবি করে। পরে জেলেরা মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রতি ট্রলার থেকে দেড় লাখা টাকা আদায় করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কক্সবাজার জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতির এক নেতা বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের পাটুয়ারটেক থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত গভীর সাগরে তাণ্ডব চালিয়ে ১৪টি মাছধরার ট্রলারসহ ৫৭ জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। পরে জলদস্যুদের সঙ্গে দফারফার পর বিকাশের মাধ্যমে বোট প্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরে জেলাসহ ট্রলারগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
কক্সবাজার জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ বাংলানিউজকে জানান, ট্রলারগুলোর মধ্যে ৮টি কক্সবাজারের, ৪টি চট্টগ্রামের ও দু’টি বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার। এরমধ্যে কক্সবাজারের আবু সোলতান নাগু কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি ছেনুয়ারা ও এফবি ভাই ভাই নামে দুই ফিশিং বোটে ৮ জন, নূনিয়াচঢ়ার মোজাম্মেল কোম্পানির এফবি মায়ের দোয়ার তিনজন, মো. সোহেলের মালিকানাধীন বোটে চারজন, নতুন বাহারছড়ার ওসমান গণি টুলুর মালিকানাধীন এফবি নিশান-১ ও ২ ফিশিংবোট দু’টিতে ১৮ জন, কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোডের কাইয়ূম সওদাগরের মালিকানাধীন এফবি রিফাত ও এফবি রফিকুল হাসান নামে দু’টি ফিশিংবোটে ছয়জন জেলে বোটসহ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সংলগ্ন কস্তুরাঘাটে ফিরে এসেছে।
অপহরণের শিকার ট্রলার মালিক ও জেলেরা জানান, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন এলাকায় প্রায় মাসখানেক ধরে জলদস্যুদের তাণ্ডব বেড়ে গেছে। যে কারণে ওই এলাকা সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই সাগরে ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসবি/টিএম/আরবি/