ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রিয়জনের অশ্রুজলে সমাহিত হলেন শাহ আলমগীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
প্রিয়জনের অশ্রুজলে সমাহিত হলেন শাহ আলমগীর পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর।

ঢাকা: স্বজন ও সহকর্মীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ছয়টায় রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর গণকবরাস্থনে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে দাফনের আগে  প্রথমে তার মরদেহ দুপুরে পৈতৃক বাড়ি গোড়ানে নেয়া হয়।

পূর্ব গোড়ান মক্কা জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটায় প্রয়াতের মরদেহ তার কর্মস্থল পিআইবিতে নেয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।  

বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানেও তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিকরা শ্রদ্ধা জানান। পরে তার জানাজা শেষে বিকাল ৪টায় উত্তরা নিজ বাসভবনে নেয়া হয়। বাদ আসর উত্তরা ১১নং সেকটরে বায়তুল নূর মসজিদে জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নং সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহ আলমগীর অসুস্থ হয়ে পড়লে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।  

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একপুত্র, এক কন্যা, আত্মীয় স্বজন এবং অজস্র গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শোক প্রকাশ করেছেন।

সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।

উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।  

এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। তিনি প্রথম আলোর যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।  

পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি সূত্রে বৃহত্তরে ময়মনসিংহে জীবনের বড় একটি সময় কাটে তার। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
আরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।