ঢাকা, সোমবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোল্ডেন রাইস বন্ধে সংসদে কথা বলবো: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৯
গোল্ডেন রাইস বন্ধে সংসদে কথা বলবো: মেনন আলোচনা সভায় অতিথিরা/ছবি- শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জি এম গোল্ডেন রাইসের চাষ ও প্রচলন বন্ধে সংসদে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। একই সঙ্গে এ জাতের চালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

শনিবার (০৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষি বিষয়ক কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মেনন। বহুজাতিক বীজ কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধে এবং জি এম গোল্ডেন রাইসের প্রচলন বন্ধে যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল উইমেন ফারমার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনডব্লিউএফএ), বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল ফার্ম লেবার ফেডারেশন (বিএএফএলএ), বাংলাদেশ শ্রমজীবী কেন্দ্র (বিএসকে) এবং ডেভেলপমেন্টাল এডুকেশন ফর পুওর (ডিইপ)।

 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, বিদেশি এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলো অনেক সময়েই আমাদের উপর আগ্রাসন চালানোর পাঁয়তারা করে। এখন তারা নতুন এই চাল নিয়ে এসেছে। কৃষি আন্দোলনের মাধ্যমেই এই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে ওয়াদা করছি যে, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে সংসদে এ নিয়ে কথা বলবো।  

আলোচনা সভায় কৃষি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বহুজাতিক কোম্পানি এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ানোদের দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, গোল্ডেন রাইস ধানে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, আয়রন এবং জিংক রয়েছে। এই চাল রাতকানাসহ ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ দূর করবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গোল্ডেন রাইসে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ খুবই কম। যা ভিটামিনের অভাব মোকাবেলায় যথেষ্ট নয়। মূলত গোল্ডেন রাইস একটি জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড রাইস বা জিনবৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে আবিষ্কৃত এক ধরনের চাল।  

গোল্ডেন রাইস প্রবর্তন বন্ধ করা, বিটি বেগুনের বাণিজ্যিক চাষাবাদ বন্ধ করাসহ সব জিএমও ফসল বন্ধ করা এবং কঠোর জৈব নিরাপত্তা আইন চালু করার দাবি জানানো হয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে আলোচনা সভা থেকে জি এম গোল্ডেন রাইসের বিষয়ে দেশীয় বিজ্ঞানীদের দিয়ে অধিকতর গবেষণা করারও দাবি জানান বক্তারা।  

কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উন্নয়নের নীতি নির্ধারণী গবেষণার নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, হাওর কৃষক ও মৎস্যজীবী সমিতির কারিগরি পরিচালক অনুপম মাহমুদ, কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মুজিবুল হকসহ অন্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।