শনিবার (৯ মার্চ) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। লাল শাহ ওই গ্রামের মৃত মকসুদ আলীর ছেলে।
আটকরা হলেন- ওই গ্রামের জাবেদ আলী (৫০), তার ছেলে শাহ আলম (২৫) ও বাবু মিয়া (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে নিহত লাল শাহের ছেলে ফরহাদ মিয়াকে (৫) মারধর করে ভাতিজা শাহ আলম (২৫)। এ নিয়ে লাল শাহ প্রতিবাদ করলে শাহ আলমের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহ আলম চাচার ওপর চড়াও হন এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সাইফুর রহমান সোহাগ মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার (১০ মার্চ) লাল শাহের সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। তিনি দুই মাস আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে নিহত লাল শাহের পাসপোর্ট ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
আরবি/