মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে নবনিযুক্ত এসিল্যান্ডদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ন্যায়ের জন্য স্রোতের প্রতিকূলে চলার মনোবল থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মানুষকে সাহায্য করার সুযোগ ভূমি মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি। পজেটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে, নলেজ, স্কিল এবং সঠিক অ্যাটিচিউট প্রয়োগ করতে পারলে এসিল্যান্ডরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। মর্যাদাবোধ নিয়ে চলতে পারলে আর কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
বিশেষ অতিথি ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অনুশাসন ছিল আমরা যেন জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করি এবং জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেই। অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের সেবক হিসেবে বিবেচনা করি। সুতরাং, সব সময় সেবা দেওয়ার মানসিকতা রাখা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আব্দুল হাই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দুর্নীতিমুক্ত, জনবান্ধব ডিজিটাল ভূমিসেবা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে ভূমিমন্ত্রী বেসিক প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রয়োজনীয় পরিমার্জনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী কোর্সটি পরিচালিত হবে এবং কোর্সের এক পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্তি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও আছে। এছাড়া বেসিক কোর্স করে মাঠে কাজ করার কিছুদিন পর তারা পুনরায় সংক্ষিপ্ত রিফ্রেশার্স কোর্স করার জন্য ঢাকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আবার আসবেন।
ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর যৌথভাবে ২০১৯ সালে নবনিযুক্ত ১৭০ জন এসিল্যান্ডদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ