বুধবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, ড্রেজার চালক সাইদুল ইসলাম, আলমগীর ও বিপ্লবকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইছামতি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিল বালু ব্যবসায়ীরা। তারা ড্রেজার দিয়ে গ্রামবাসীর রেকর্ডভুক্ত জমি কেটে নিচ্ছিলো। এতে বাঁধা দিতে গেলে বালু ব্যবসায়ীদের ২০/২৫ জনের একটি দল গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা অন্তত ৩০/৩৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে নজরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর, রত্না বেগম, আঞ্জুয়ারা বেগম, মালেক, হামিদুল, রিপন, আছিয়াসহ ১৬ জন আহত হন।
অপরদিকে বালু ব্যবসায়ী লিটন কুমার সাহা অভিযোগ করে বলেন, বিধি অনুযায়ী বালু উত্তোলন করছি। নদীর পাশে যাদের রেকর্ডভুক্ত জমি রয়েছে তাদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক টাকা দিয়ে মাটি কিনে নিয়েছি। অথচ ওই এলাকায় যাদের জমি নেই, তারাই আমাদের বালু উত্তোলনে বাঁধা দিচ্ছে। সকালে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের সময় গ্রামের সাত/আটজন লোক এসে তা বন্ধ করে দেয় এবং ড্রেজার চালক সাইদুলকে মারধর করে। দুপুরের দিকে গ্রামের নারী-পুরুষ সংঘবদ্ধভাবে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে ছাত্রলীগ নেতা সেলিমসহ তিনজনকে মারধর করে। এসময় সেলিম ও তার লোকজন বাঁধা দিতে গেলে গ্রামবাসীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিন/চারজন গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে লোকজনকে ডেকে আক্রমণের পায়তারা করলে ঘটনাস্থল থেকে নজরুল ইসলাম, শহীদুল ও হারান আলীকে আটক করা হয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এসআরএস