১৮ মার্চ (সোমবার) মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখতে বলা হয়।
নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশনার চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিজিত চৌধুরী।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০১৯-২০২১ মেয়াদি কার্য নির্বাহী কমিটি নির্বাচনে জাল টিআইএন সনদের মাধ্যমে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা করা হয়েছে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপ সচিব সিরাজুল ইসলামকে দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবেন ওই কর্মকর্তা। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়েছে।
চিঠির অনুলিপি সিলেট জেলা প্রশাসক, এফবিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দেওয়া হয়েছে।
তফসীল অনুযায়ী আগামী ২৭ এপ্রিল সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ছিল।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে সিলেট চেম্বারের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন। ওইসময় প্রায় চার সহস্রাধিক ভোটার বাছাইকালে ৮৮ জনের আয়কর সনদ জাল ধরা পড়লে তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারা। এদের মধ্যে মাত্র সাতজন আপিল করলে ছয়জন সদস্যপদ ফিরে পান।
চেম্বারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনে বিজয় লাভের আশায় একটি পক্ষ বিগত দিনে জাল আয়কর সনদ দিয়ে ভোটার বাড়িয়েছে। বাছাইয়ে কেবল ১০০ খানেক বাদ পড়েছেন। নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখলে জাল সনদে হওয়া আরও অনেক ভোটার বাদ পড়তে পারেন।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিজিত চৌধুরী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় আমরা গ্রুপ থেকে ওই প্রতিনিধিদের বাদ দিই। পরে আপিলে তারা ফিরে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
এনইউ/টিএ