তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি (মিডিয়া) শেখ মো. রুহুল আমীনের নেতৃত্বে পাঁচজন সদস্য তদন্ত দলে রয়েছেন। তদন্তদল সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসায় রাফিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনাস্থল, রাফিদের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
ডিআইজি (মিডিয়া) শেখ মো. রুহুল আমীন এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি এখানে দু’দিন অবস্থান করবো। এসময় এখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মেয়েটির পরিবার ও স্বজনসহ সবার সঙ্গে কথা বলবো। এরপর ব্রিফ করবো।
ফেনী জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার তিনদিন পর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়গুলো উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনে সোনাগাজীর ওসিসহ স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তদল ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ প্রশাসনের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে।
২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানি ও উক্ত ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল পরীক্ষা কেন্দ্রে রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি ও ফেনীর এসপির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে গত ৯ এপ্রিল ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এসএইচডি/এএ