শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাজারের সব দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ সভা করেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে রিপনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
রিপন বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আবুল খায়েরের দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। কয়েকদিন আগে দোকান মালিক ঘরটি ছেড়ে দিতে বলেন। বিষয়টি বাজার কমিটিকে জানালে তারা ভাড়া বাড়িয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বকেয়া টাকাও পরিশোধ করা হয়। এরপরও দোকানের মালিক থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রশিদ আমাকে দেখা করতে বলেন। দেখা না করায় দোকানে এসে আমার জামার কলার চেপে ধরেন, লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন এবং ধাক্কা দেন। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা চলে যান।
এদিকে দোকানঘরের মালিক আবুল খায়েরের স্ত্রী বিবি রহিমা জানান, রিপন ঠিক মতো ভাড়ার টাকার পরিশোধ করেন না। কয়েক মাসের টাকা বাকি। বাজার কমিটির লোকজন বকেয়া পরিশোধ করতে বললেও তা ঠিক মতো করেননি। তিনি টাকা চাইলে উল্টো হুমকি দেন। এজন্যই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, ভাড়াটিয়া ও দোকান মালিকের মধ্যে ভাড়া নিয়ে বিরোধ চলছিলো। কমিটির লোকজন ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বৈঠক করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। এরপরও দোকান মালিক থানায় অভিযোগ করেছেন। পরে থানা থেকে এএসআই রশিদ এসে ওই ব্যবসায়ীকে লাঞ্ছিত করেন। তিনি চেয়ারম্যানসহ বাজার কমিটির লোকদেরও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। যে কারণে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ ও পরে দোকানপাট বন্ধ করে প্রতিবাদ সভা করে।
কমলনগর থানার এএসআই মো. রশিদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উভয়পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু ব্যবসায়ী রিপন থানায় আসেননি। কেন আসেননি জানতে চাওয়া হয়েছে। তাকে লাঞ্ছিত বা কাউকে গালমন্দ করার অভিযোগ সত্য নয়।
শুক্রবার সকালের প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় চর কাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফিক উল্লাহ বাংলানেতা, চর কাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এসআর/একে/এএটি/এইচএ/