ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফ্রেমে ফ্রেমে রূপসী বাংলা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
ফ্রেমে ফ্রেমে রূপসী বাংলা

ঢাকা: গ্যালারিতে ঢুকতেই মনটা যেন ফুরফুরে হয়ে উঠলো। দেয়ালজুড়ে ফ্রেমে বাঁধা আলোকচিত্র। বর্ণিল সব আঙ্গিকের আলোকচিত্র। প্রতিটি ছবিতেই একটি বিষয়ের মিল রয়েছে। আবহমান বাংলার রূপ। ফুলে ফুলে সাজানো প্রান্তর যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রান্তিক মানুষের যাপিত জীবন, কৈশোরের দুরন্তপনা, ধর্মীয় সহমর্মিতা। সব মিলিয়ে রূপসী বাংলার অনন্য রূপ। 

দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত আলোকচিত্রীদের এমন নজরকাড়া আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে ‘রূপসী বাংলা জাতীয় ফটো প্রদর্শনী’তে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শুরু হয়েছে তিন দিনের এ প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ফটো প্রদর্শনীর সঙ্গে শুক্রবার হয়েছে প্রতিযোগিতাও। সম্মাননা জানানো হয়েছে প্রয়াত তিন আলোকচিত্র সাংবাদিক এস এম মোজাম্মিল হোসেন, মোশারফ হোসেন লাল ও জহিরুল হককে।

দুপুরে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব ড. কাজী আসাদুজ্জামান, সিনিয়র আলোকচিত্র সাংবাদিক রফিকুর রহমান এবং ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা।

হাছান মাহমুদ বলেন, একটি ছবি অনেক সময় গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত ছবি গবেষণার বিষয় হয়েছে। একটি ছবি মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে। কোনো সংবাদ অনেক সময় ছবি-ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। একটি ছবি তোলার জন্য অনেক সময় ফটো সাংবাদিকদের অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। ছবি তুলতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হয়েছে। এই কাজগুলো অনেক সময় অন্তরালেই রয়ে যায়, কিন্তু তবু এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও সব ক্ষেত্রে ফটো সাংবাদিকদের যে ভূমিকা, তা অনস্বীকার্য।

‘রূপসী বাংলা’ নামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে কতো সুন্দর, আমরা যখন বিদেশে যাই তখন সেটি অনুভব করি। এতো সবুজ, প্রকৃতির অপরূপ শোভায় বাংলাদেশের মতো অত্যন্ত মায়াবী স্নিগ্ধ প্রকৃতি খুব কম দেশেই আছে। আর সেই রূপ-প্রকৃতির ছবি নিয়ে যে প্রদর্শনীর আয়োজন, সেটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি ছবি অনেক কথা বলে। আমাদের আলোকচিত্র সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ছবি তুলে চলেছেন। তাদের ছবি ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম বড় হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে। তাদের ক্যামেরা বাংলাদেশের ও মানুষের কথা বলে।

সাইফুল আলম বলেন, একটি ঘটনা ঘটলে রিপোর্টার হয়তো একটু দূরে থেকেও সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেন। কিন্তু একজন প্রকৃত ফটো সাংবাদিকের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘটনার খুব কাছে যেতে হয় এবং সেই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় যেটি তিনি ক্যামেরায় ধরবেন। ছবি কালের সাক্ষী, ইতিহাসের সাক্ষী।

জাতীয় চিত্রশালার চার নম্বর গ্যালারিতে তিন দিনের এ প্রদর্শনীতে ৬৫ জন আলোকচিত্র সাংবাদিকের ৬৫টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/

** সরকার এমন বেকায়দায় নেই যে খালেদাকে প্যারোল দিতে হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।