বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ ঘিরে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ সমালোচনা করে আসছে। এসব দেশের অভিযোগ চীন এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভূ-রাজনৈতিক বলয় তৈরি করতে চায়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সহযোগিতা করুন, না হয় সমালোচনা বন্ধ করুন। এই উদ্যোগের মধ্যে চীনের কোনো ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এই উদ্যোগে অংশ নেওয়ার জন্য সব দেশকে স্বাগত জানায় চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ২৫-২৭ এপ্রিল বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় বেল্ট অ্যান্ড রোড সামিটে ১৫০টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। এই সামিটে ৪০টি দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, আসিয়ান দেশগুলোর সরকারপ্রধান, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, অস্ট্রিয়া, এশিয়া ও আফ্রিকার নেতারা এ সামিটে যোগ দেবেন।
এর আগে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো বেল্ট অ্যান্ড রোড সামিটের আয়োজন করেছিলো চীন। সে সময় এতে ১৫০টি দেশ থেকে ৫ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দেন।
২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা সব সময় চীনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আসছে।
এদিকে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে ' সিল্ক রোড ইকনোমিক বেল্ট' কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের ২৩টি দেশের ৩৩ জন সাংবাদিক। শিনজিয়াং প্রদেশ থেকেই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯
টিআর/এএ