ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এ এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ডিগ্রি তেকানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটির বেশ কিছু অংশ যমুনাগর্ভে চলে গেছে।
তেকানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, যমুনার পূর্বপাড়ের চরাঞ্চলের এ গ্রামটি এবার ভয়াবহ ভাঙন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মাসখানেক আগে থেকেই এ এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এর ওপর ফণী’র প্রভাবে গত তিনদিনের টানা বৃষ্টির পাশাপাশি যমুনার উত্তাল ঢেউয়ের কারণে বেশ কিছু ঘর-বাড়িসহ শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি ও কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। প্রাথমিকভাবে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু যমুনার তীব্র স্রোতে বালির বস্তা ভেসে গিয়ে বিদ্যালয় ভবনটির একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।
কাজীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রায় ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিগ্রি তেকানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নির্মিত হয়। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় আরও প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ হয়। শনিবার বিকেলে বিদ্যালয় ভবনটি যমুনায় ধসে পড়েছে। নিলামের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় ভবনটি ভেঙে ফেলা যায়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত নিলামের মাধ্যমে ভবনটি বিক্রির চেষ্টা চলছে। নিলামের মাধ্যমে ভবনটি বিক্রি করা হবে। এ অবস্থায় পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখতে অস্থায়ী ক্লাসরুমের ব্যবস্থাও করার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এসআরএস