জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানের মাটি কেটে সমান করার কাজ করছেন শ্রমিকরা। গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এখানকার মাটি সমান এবং গাছগুলোতে রং করার কাজ করা হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানান অধিদপ্তরের কার্যকরী সহকারী নজরুল ইসলাম।
ডিএসসিসি’র অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বাংলানিজকে বলেন, ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহ প্রস্তুত করা এবং নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার কাজগুলো অনেকগুলো সংস্থা মিলে করে থাকে। আর প্রত্যেকেরই কাজ নির্দিষ্ট করে ভাগ করা আছে। আমরা সিটি করপোরেশন শুধু প্যান্ডেল তৈরি, সামিয়ানা ও রেইন প্রুফ কাভার অর্থ্যাৎ ত্রিপল, মোবাইল টয়লেট স্থাপন এবং ঈদগাহের ভেতরে ও বাইরের এলাকার সার্বিক সৌন্দর্য্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করি। নিরাপত্তার কাজ করবে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মাইকিংয়ের কাজ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়; এভাবে প্রস্তুত করা হয় ঈদগাহ ময়দান। আবার আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ঈদের জামাত আমাদের তত্ত্বাবধানেই হবে। এখানে সাধারণত সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যদি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে তাহলে জামাতের বিষয়টি আবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে চলে যায়। তখন সাধারণত সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররমে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জামাত আয়োজনে নিজেদের প্রস্তুতির বিষয়ে ডিএসসিসি’র এই প্রকৌশলী বলেন, আমাদের অংশের কাজ সম্পন্নের জন্য এরইমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে (পিয়ারু সরদার)। দুই দিন আগে তারা কাজ শুরু করেছে। ঈদের চার পাঁচদিন আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমাদের এখানে সাধারণত ৮০ হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করেন। এবার ৮৪ থেকে ৯০ হাজার পুরুষ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় পাঁচ হাজার নারী মুসল্লির জন্য নামাজ আদায়ের আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও ২৫ হাজার ৪০৩ বর্গমিটার আয়তনের এলাকার ওপর ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিন হাজার ৫৫ বর্গমিটার আয়তনের ওপর সামিয়ানা দিচ্ছি।
এদিকে ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, ঈদগাহের জামাত বিষয়ে আগামী রোববার (২৬ মে) নগর ভবনে সবগুলো মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা আয়োজিত হবে। ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন সভায় সভাপতিত্ব করবেন। বেশকিছু বিষয়ে সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস