জানা যায়, স্থানীয় বখাটেরা রাতে আড্ডা দেয় স্কুলের বারান্দায়। চলে মাদক সেবনও।
কিছুদিন আগেই এসব কথা স্ত্রী সখিনা বেগমকে বলেছিলেন ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইয়াকুব। এমনটাই জানালেন খবর পেয়ে ছুটে আসা ইয়াকুবের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা।
ইয়াকুবের শ্যালক কলেজছাত্র মিনারুল বলেন, দুলাভাই ভয় পেতেন রাতে স্কুলের বারান্দায় একা-একা দায়িত্ব পালন করতে। ওদের ভয়ে রাতে ডিউটির সময় সঙ্গ দিতে আমাকে অনুরোধও করেছিলেন। সেজন্য বেশ কয়েকবার দুলাভাইয়ের সঙ্গে স্কুলের বারান্দায় ছিলাম।
প্রতিদিনকার মতো সোমবার (২৪ জুন) দিনগত রাতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় সংলগ্ন ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে এসেছিলেন ইয়াকুব আলী। কিন্তু এখন তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামীমা সিমু বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে স্কুলে আসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসে দেখতে পায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনের বারান্দার মেঝেতে ও ইয়াকুবের বিছানার আশপাশে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে আছে। কিন্তু ইয়াকুবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। বিছানার পাশেই পড়ে রয়েছে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও স্কুলের চাবি। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
এর আগে, বখাটেদের উৎপাতের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি স্কুল থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফএম নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইয়াকুবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। হত্যার পর তার মরদেহ গুম করা হয়েছে।
রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে এবং এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এসআরএস/এসএইচ