শুক্রবার (১৯ জুলাই) টিআইবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
টিআইবি বলছে, এর ফলে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনকেন্দ্রিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুদকের ওপর অর্পিত আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যানুযায়ী, পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ-সম্পর্কিত আলোচনায় অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান যেভাবে জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট জেলার সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের অংশ হিসেবে মাঠপর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, তা উভয় কর্তৃপক্ষের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিক্রমণ ও দ্বন্দ্বের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এ সিদ্ধান্ত যদি হয়ে থাকে, তবে তা বিশেষ করে স্থানীয় দুদকের কার্যক্রমে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং অনৈতিক ও দুর্নীতি সহায়ক প্রভাবের যুক্তি সৃষ্টি করবে। দুদকের যতটুকু ক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা বজায়ের সুযোগ আইনগতভাবে দেওয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণভাবে বিসর্জিত হবে। দুদকের জন্য এ সিদ্ধান্ত অপরিণামদর্শী ও আত্মঘাতী।
টিআইবি আরও বলছে, বিষয়টি নিয়ে এমন আবেগপ্রসূত ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত পরিহার করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রশাসনের সঙ্গে দুদকের সম্পর্ক নির্ধারণে দুদকের উচিত হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্পর্কিত করে সম্ভাব্য সব প্রভাব ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত পারস্পারিক পেশাগত অবস্থানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশক এবং সীমারেখা নিরূপণ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমএএম/এএ