ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় ডাকটিকিট দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
জাতীয় ডাকটিকিট দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত ডাকটিকিট অবমুক্তকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সোমবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী এসব ডাকটিকিট ও ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন।
 
এগুলো ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে।

পরবর্তী সময়ে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা হবে।
 
স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত শেষে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭১ সালে মুজিব নগর সরকার আটটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে বহির্বিশ্বে স্বাধীন বাংলার অস্তিত্বপ্রকাশ করেছে। ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা আটটি ডাকটিকিট মুজিব নগর সরকার, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব সত্য প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে মুজিব নগর সরকার কুটনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
 
মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের প্রকাশিত আটটি ডাক টিকিট ইতিহাসের অংশ হিসেবে আবারও প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এ গুরুত্বপূর্ণ অংশটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে ডাক বিভাগের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে জাগরূক রাখতে হবে।
 
তিনি বলেন, ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে কথা বলে। জ্ঞানার্জনে ডাকটিকিটে যে তথ্য পাওয়া যাবে গুগলেও তা পাওয়া দুষ্কর। জ্ঞানার্জনের জন্য ডাকটিকিট সংগ্রহে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধসহ শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অবদান রাখা মানুষগুলোকে নিয়ে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মন্ত্রী নির্দেশ দেন।
 
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।