সোমবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব পরামর্শ দেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ডেঙ্গু হলে চিকিৎসা করাতে হবে। বারবার প্ল্যাটিলেট (অণুচক্রিকা) পরীক্ষা করতে হবে। এই বিপদ থেকে আমাদের উত্তোরণ ঘটাতে হবে। ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
‘অন্যান্য দেশে কী হচ্ছে সেটাও দেখা উচিৎ। এডিস মশা কামড়ালে জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে। আমার হয়েছিল তাই আমি বুঝি,’ নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এডিস মশা বেড়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ধরনের অবস্থা থাকবে। এ মশা বেশি ঠাণ্ডা ও বেশি গরমে মারা যায়। ২৫ থেকে ২৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এডিস মশা বেশি হয়। একই সঙ্গে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।
মশার ওষুধে কাজ হয় না-এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের দেশে না হয় ওষুধে কাজ করে না। কিন্তু ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের মতো দেশেও ডেঙ্গু হয়। সেখানে তো ওষুধ দেওয়া হয়। তাহলে তাদের ওষুধ কেন কাজ করে না? আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এটা হচ্ছে। সব দেশেই একই অবস্থা।
গত মাসের শুরুর দিকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়। সে সময়ই আক্রান্ত হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের দু’দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
বাজেট দিতে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে যান অর্থমন্ত্রী। যদিও এর কিছুক্ষণ পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার হয়ে বাজেট উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ওই দিনই ছিল আমার জীবনের ‘চরম সংকটের দিন’। কারণ এর তিন দিন আগে আমি ডেঙ্গু জ্বরে ভয়ানকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি ও হাসপাতালে ভর্তি হই।
কেউ যেন এই জ্বরে আক্রান্ত না হয় সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাও করেন তিনি।
এদিকে গত একমাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আটজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
জিসিজি/এমএ