ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
‘সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে’

ঢাকা: আগুনে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তিটি একনজর দেখতে আসছেন ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের এলাকার লোকজন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্টে শোকাহত তাদের স্বজনসহ সাধারণ মানুষও।

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঝিলপাড় বস্তি এলাকায় এমন চিত্রই দেখা যায়।

মিরপুর-৭ থেকে ঝিলপাড় এলাকায় এসেছেন জব্বার উদ্দিন ব্যাপারী।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে টিভিতে দেখেছি আগুনের ভয়াবহতা। আজ সরাসরি বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থাৎ কী পরিমাণ পুড়েছে, কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এগুলো দেখতে আসলাম। সবই তো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

নাতির ঘর পুড়ে গেছে শুনে কমলাপুরের মণ্ডা থেকে দেখতে এসেছেন মো. ইউসুফ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখানে তো আর কিছু নাই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এখানে আমার নাতিকে দেখতে এসেছি। আমার নাতি এখানে ভাড়া থাকে। আমার নাতির ঘরের সব কিছু পুড়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারেনি।  

ঝিলপাড় বস্তিতে আসছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনসহ সাধারণ মানুষ।  ছবি: বাংলানিউজ

ছেলের ঘর পুড়ে গেছে শুনে মিরপুর-২ থেকে দেখতে এসেছেন পারভিন আক্তার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল রাতে আমার ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিসহ এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। কোনো কিছুই সঙ্গে নিয়ে বের হতে পারেনি। আমার ছেলে এখানে ভাড়া থাকতো। ঘরের সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে নগদ ৫ হাজার টাকা ছিল। তাও নিয়ে বের হতে পারেনি। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে, আমার ছেলে, ছেলের বউ আর নাতির কিছু হয়নি।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটের দিকে মিরপুরের চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে ২৪টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন পুরোপুরি নির্বাপন করা সম্ভব হয় রাত দেড়টার দিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এমএমআই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।