সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টায় অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ বৃক্ষ রোপণ করেন ঢাকার বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরের প্রধান বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিউজুর রহমান বলেন, বোধিবৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে বৌদ্ধদের তীর্থস্থানে রূপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ সংঘের প্রধান শুদ্ধানন্দ মহাথের বৃক্ষটি রোপণ করেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে সম্মান জানানো এবং তাদের সংযুক্ত করার প্রয়াস। বাংলাদেশে আরো অনেক বৌদ্ধবিহার আছে তবে এই কাজটি হয়নি, এটি প্রথম। একটি পর্যটন কেন্দ্র কেবল আবিষ্কারের মাধ্যমে হয় না। এর মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের একটি বিকাশ ঘটবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ উল আলম লেলিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ও প্রধান ভিক্ষু শুদ্ধানন্দ মহাথের।
জানা যায়, বাগেরহাটে একটি দিঘি খনন করে সপ্তম শতাব্দীর গৌতম বুদ্ধের মূল্যবান পাথরের একটি মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। শুদ্ধানন্দ মহাথেরের কাছে সংরক্ষণে থাকা এই মূর্তি বিক্রমপুর জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ড. নূহ উল আলম লেলিনের কাছে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হয়েছে। যা বিক্রমপুর জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব পি আর বড়ুয়া, সহ সভাপতি প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান নন্দিতা বড়ুয়া, সভ্যতার আলো পত্রিকার সম্পাদক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, অগ্রসর বিক্রমপুর সদর উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর হাসান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
আরএ