বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের নির্দেশ পেয়ে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। পরে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের লোকজন শিশুটিকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় পাঠায়।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভ কক্ষের সামনের সিঁড়িতে পড়ে ছিল শিশুটি। নবজাতকের কান্নার শব্দে হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে আসা আনোয়ারা নামে এক নারী মাতৃস্নেহে কোলে তুলে নেন শিশুটিকে। পরে ওই নারী হাসপাতালের নার্স-চিকিৎসকদের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যান। আর এভাবেই অজানা শিশুটির ঠাঁই হয় হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে। হাসপাতালে শিশুটির নাম রাখা হয় ‘স্নিগ্ধ’।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুলতানা রাজিয়া বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধার হওয়া শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের পরম মমতা ও ভালোবাসায় শিশুটি এখন সুস্থ। তারা আদর করে শিশুটির নাম রেখেছেন ‘স্নিগ্ধ’।
কিশোরগঞ্জ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক কামরুজ্জামান খান বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে শিশুটির ব্যাপারে তারা আদালতের নির্দেশনা চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালত থেকে শিশুটিকে আজিমপুরের ‘ছোটমণি নিবাস’ এ পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার শিশুটিকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এএটি