বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ‘কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং মৎস্য চাষ কলাকৌশল নির্ধারণ বিষয়ক’ একটি কর্মশালায় এ কথা বলেন আলোচকেরা।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন।
আলোচকরা বলেন, ছোট মাছের উৎপাদন বেশি হওয়ায় বড় কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কারণ হচ্ছে চিংড়ি, মলা, কাচকি, চাপিলা এই জাতীয় মাছ ধরার জন্য মশারী জাল ব্যবহার করা হয়। এই জাল ব্যবহারের ফলে ছোট মাছ ধরার পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছের পরিবেশ ও খাবার এবং ডিম ধ্বংস হয়। ফলে কার্প মাছের উৎপাদন ক্রমেই কমে যাচ্ছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, যেখানেই ছোট মাছ বেশি থাকে সেখানে বড় মাছ কম হয়। আমি নিজেই মাছ চাষ করে এটা দেখেছি। ছোট মাছগুলো বড় মাছের খাবার খেয়ে ফেলে। তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে বড় মাছের উৎপাদন বাড়াতে কাপ্তাই লেক থেকে ছোট মাছ কমাতে হবে।
বিশেষ অতিথির আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হলে মাছের উৎপাদন বাড়বে না কেন। আর মাছের উৎপাদন যদি না পারে তাহলে ১৯৭৮ সাল থেকে কেন প্রতিবছর এখানে মাছের পোনা ছাড়া হচ্ছে। আর কেন এত দিন পরে এসে আজকে এই কর্মশালার আয়োজন। কেন মাছের উৎপাদন বাড়ছে না, গবেষণা করে তা বের করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ। কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, মৎস্য গবেষক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তা এবং কাপ্তাই লেক সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
বাংলাদেশের সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
আরকেআর/এএটি