এ বিষয়ে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম। অভিযোগ ইসমাইল হোসেন অপহরণ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এ হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জোসনা বেগম পেশায় গৃহিণী। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে সংসার জীবনে সুখে ছিলেন। ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক কারণে শত্রুতাবসত নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তার শ্যালক নূর আলম একই মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক র্যাব কর্মকর্তাদের দিয়ে (সাতজন অপহরণ ও খুনের পূর্বে) প্রথমে তার স্বামী যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পরে ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়দানকারী দুর্বৃত্তরা ইসলামাইল হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর আদমজীনগর র্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। সেই টাকা দিতে না পারায় এখনও তিনি তার স্বামী ইসমাইলের সন্ধান পাননি। এবিষয়ে নূর হোসেন তার শ্যালক নূর আলম খান, র্যাবের সাবেক কয়েকজন অফিসারসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
আরও উল্লেখ করা হয়, নূর হোসেন কারাগারে বন্দি থাকলেও ইসমাইল অপহরণ মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে তার শ্যালক নূর আলম খান অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। গত ২২ আগস্ট বিকেলে তাদের কাঁচপুর কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত কাঁচপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর শোক দিবসের মিলাদ-মাহফিল চলার সময় অনেকের সামনে নূর আলম তার সহযোগী মাহবুব ও সোহেলসহ কয়েকজন এসে জোসনা বেগমকে ডেকে নিয়ে অপহরণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়।
এসময় তারা অপহরণ মামলার বাদী আব্দুল মান্নানকে দিয়ে মামলা তুলে না নেওয়া হলে ইসমাইলের মতো তার ছেলেকেও র্যাব দিয়ে অপহরণ করে হত্যা করা হবে বলে জোসনাকে হুমকি দেয়।
জোসনা বেগম জানান, পুলিশ সুপার সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তার ধারণা, নূর আলম ও তার সহযোগী মাহবুব এবং সোহেলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে ইসমাইল হোসেন অপহরণের বিষয়ে তথ্য পাবে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
ওএইচ/