সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেখানে ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে অতিভারী বর্ষণ বলা হয়। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় টেকনাফে ৪২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় টেকনাফে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা রেকর্ড। এবছর এতবৃষ্টি আর কোথায়ও হয়নি। আরও কয়েকদিন এমন থাকতে পারে। এরফলে ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী পাঁচদিন বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকলেও সামুদ্রিক ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো আভাস দেয়নি আবহাওয়া অফিস। তাই কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
তবে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (এক) সতর্ক সংকেত দেখানোর কথা বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
ইইউডি/এমএ