এ ঘটনায় বৃদ্ধের ছেলে আমীর আলী ঢালী বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরব আলী শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়ির সামনে নিজ দোকানে ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে আমি এবং আমার ছেলে আমীর আলী কথা বলছিলাম এর এক পর্যায়ে হাসাহাসি করছিলাম।
আকলিমা বেগম বলেন, পরিষদে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান আমার শশুরকে বেধড়ক পিটিয়েছে। আমাকে ঠেকানোর কোনো সুযোগও দেয়নি। আমি মারধরে ভিডিওচিত্র ধারণ করেছিলাম। পরে চেয়ারম্যান তার পরিষদের মহিলা দফাদার দিয়ে আমাকে মারধর করে মোবাইলের সিম ও মেমোরিকার্ড নিয়ে যায়।
আকলিমার স্বামী আমীর আলী ঢালী বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবাকে অন্যায়ভাবে চেয়ারম্যান মারধর করেছে। আমাকে থানায়ও জানাতে দেয়নি। বাবার কাছ থেকে সাদাকাগজে জোরপূর্বক টিপসই রেখেছেন চেয়ারম্যান। কোথাও নালিশ না করার জন্য হুমকিও দিয়েছে। বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।
তবে এ বিষয়ে অভিযোগকারী বেবী ঢালীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুহিন হাওলাদার বলেন, আরব আলীর ছেলে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের কপি আমি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএইচ