ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাহাড়ঘেরা মেঘালয়-সিলেটের পর্যটন প্রসারে মতৈক্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
পাহাড়ঘেরা মেঘালয়-সিলেটের পর্যটন প্রসারে মতৈক্য

ঢাকা: বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও ভারতের মেঘালয়ের গভর্নর তথাগত রায় দু’দেশের মানুষের বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পর্যটনশিল্পের বিকাশে জোর দিয়েছেন। 

কলকাতা-আগরতলা-শিলং সফরের শেষদিন বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হাছান মাহমুদ মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে  রাজ্য গভর্নরের আমন্ত্রণে তার সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠকে মিলিত হন। মন্ত্রীর সহধর্মিণী নূরান ফাতেমা ও গভর্নরের সহধর্মিণী অনুরাধা রায় এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিষয়টি জানান তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ।  
 
বৈঠকে গভর্নর বলেন, পাহাড়ঘেরা মেঘালয় বাংলাদেশিদের জন্য আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল। আবার যোগাযোগ সুবিধা ভালো হলে এখানকার মানুষও সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে বেড়াতে যেতে আগ্রহী।
 
তথ্যমন্ত্রী তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন ও পর্যটন বিকাশের জন্য বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতার কথা জানান। আগামী বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তথাগত রায়কে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান হাছান মাহমুদ।
 
গভর্নরের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আন্তরিক এ বৈঠকে ড. হাছান মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্তরিক সহযোগিতার জন্য মেঘালয়ের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান।  
 
তথ্যমন্ত্রীকে নিজের লেখা ‘যে দেশ আমাদের ছিল’ গ্রন্থটি উপহার দেন তথাগত রায়। তথ্যমন্ত্রীও তাকে নৌকা স্মারক, ঐতিহ্যবাহী নকশীকাঁথা ও জামদানি উপহার দেন।
 
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিলংয়ের এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স সেন্টারে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন গৌহাটি আয়োজিত আলোচনা সভায় মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেঘালয় রাজ্যসভার স্পিকার মেতবাহ লিংডহ। এসময় ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।  
 
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গৌহাটিতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার এসএম তানভীর মনসুরসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  সফরশেষে বুধবার রাতেই তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।