গাড়িগুলো দেখলে মনে হবে, কোনো ভাঙারি দোকানের মালামাল রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গাড়ির স্তূপে পানি জমে জন্মাচ্ছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাও।
সম্প্রতি এমন দৃশ্য দেখা গেছে ঢাকার আশুলিয়া থানার সামনে।
জানা যায়, বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা টাকা-অস্ত্র জাতীয় ছোট জিনিসগুলো রাখা হয় থানার ভেতরে। আর, যানবাহনের মতো বড় আলামত রাখা হয় বাইরে খোলা জায়গায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো পড়ে রয়েছে খোলা আকাশের নিচে। এগুলোর মধ্যে দামি ও নতুন গাড়ির মালামাল চুরি হয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় খালাস পেতে দেরি হওয়ায় ধীরে ধীরে সেগুলো পরিণত হচ্ছে ভাঙারিতে। থানার মালখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া চিহ্নিতকরণ নাম্বারও মুছে গেছে অনেক গাড়ি থেকে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার মালখানার দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ থানায় মামলার আলামত হিসেবে আটক করা যানবাহনের সংখ্যা দেড় শতাধিক। মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত না হওয়ায় বছরের পর বছর আলামতের ভিড় জমতেই থাকে। এতে আমাদের তেমন কিছুই করার থাকে না। গাড়িগুলো রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এমন কোনো থানা নেই যেখানে বড় যানবাহনগুলো রাখা যাবে। আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি।
জব্দ যানবাহনের সুরক্ষা বা হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মামলার আলামত হিসেবে কোনো যানবাহন জব্দ করা হলে তখনই সেটি আদালতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত আলামত ধ্বংস বা হস্তান্তর করা যায় না। আমরা চেষ্টা করি যানবাহনগুলো ভালো ভাবে রাখার। কিন্তু, জায়গা স্বল্পতার কারণে সেটা সবসময় হয়ে ওঠে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
একে