জাতিসংঘ সদরদপ্তরে চলতি ৭৪তম সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির আওতায় শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মানবাধিকার ইস্যুতে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ খান।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে নিজভূমি থেকে পালিয়ে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যে উদারতা দেখিয়েছেন তা উল্লেখ করেন এই সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষা ইস্যুতে যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে তা সভায় অবহিত করা হয়।
আব্দুল মজিদ খান বলেন, এসব পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনবার ইউনিভার্সাল পিরিঅডিক রিভিউতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও রিপোর্ট উপস্থাপন, জেনেভাস্থ নিপীড়ন বিরোধী কমিটিতে দেশ পর্যায়ের প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং ২০১৭ সালে হিউম্যান রাইটস কমিটির ১১৯তম সেশনে বাংলাদেশে বেসামরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের চলমান অবস্থার উপর রিপোর্ট।
বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ ও স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে কোনো মানবাধিকার ইস্যু বিবেচনায় নিতে সদা প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন আব্দুল মজিদ খান।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা ও অগ্রায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের মূল কমিটিগুলোর চলমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে বর্তমানে নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান। বাংলাদেশ বর্তমানে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ