তিনি বলেছেন, দোষী হলে কোনোক্রমেই ছাড় নয়, নির্দোষকে কোনোভাবেই হয়রানি নয়।
রোববার (২০ অক্টোবর) ডিএসসিসির নগর ভবনে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালির আগে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, নতুন ১৮ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে শতাধিক কাউন্সিলর রয়েছেন। এর মধ্যে একজন (এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ) এ কাজে জড়িয়েছেন। আরও দু’চারজনের নাম গণমাধ্যমে এসেছে। গণমাধ্যমে এলেই কাউকে অভিযুক্ত করতে পারি না।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে কাউকে দোষী না বলা পর্যন্ত আমরা কাউকে দোষী বলতে পারি না। সুতরাং প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী বলে যেন হয়রানি না করা হয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি আমাদের কোনো সাহায্য চায়, আমরা অবশ্যই করবো।
ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাঈদকে ইতোমধ্যেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরখাস্ত করেছে। তার বদলে কে দায়িত্ব পালন করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের কাছে এখনও চিঠি আসেনি। আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার কাউন্সিলরকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের চলমান কার্যক্রম কিছুটা ধীর গতি এসেছে, এটা আমি স্বীকার করছি। তবে মন্থর গতিটা কাটিয়ে দ্রুত সব কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, শহরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে এসেছে। দেশব্যাপী এর প্রাদুর্ভাব এখনো শূন্যের কোটায় নামেনি। শীতকালে শহরাঞ্চলে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তবে এটা প্রাণঘাতি কোনো মশা নয়। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (এলআইইউপিসি) প্রকল্পের পক্ষ থেকে হাত ধোয়া কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শরীফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
ডিএন/আরবি/