মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গোতামারী ডিএমএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ খাস কামরার সন্ধান পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গোতামারী ডিএমএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জু দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় ভবনের একটি কক্ষে খাস কামরা তৈরি করে জুয়াসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন।
বিভিন্ন বিষয় আমলে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব দেননি ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন হঠাৎ করে ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয় ভবনে তিনি দেখতে পান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জু একটি কক্ষকে খাস কামরা তৈরি করেছেন। সেখানে খাট বসানো রয়েছে। তখন জানতে পারেন ওই কক্ষে তিনি জুয়া খেলাসহ নানা অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তাৎক্ষণিক ইউএনও সামিউল আমিন ওই খাস কামরায় তালা ঝুলিয়ে দেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ হোসেন রঞ্জু বলেন, খাস কামরা নয়, রাতভর বিদ্যালয়ের কাজ করার কারণে বিশ্রামের জন্য একটি খাট বসানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্প নারায়ণ রায় বলেন, ইউএনওসহ আমি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের একটি খাস কামরার সন্ধান পাই। পরে ইউএনও ওই খাস কামরায় তালা লাগিয়ে দেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার পরিবেশ নষ্টসহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে হঠাৎ করে সেখানে পরিদর্শনে যাই। পরে খাস কামরার সন্ধান পেয়ে সেটিতে তালা লাগানো হয়। পরে এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
আরএ