তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে অসন্তোষ আছে, যা হওয়া উচিত তা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর বছর ২০২০ সালে তা পূরণ করা হবে।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা শহরে বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটি ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে এবং পরিচয়পত্রের পেছনে তারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা লেখা থাকবে।
আগামী জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সব কবর একই নকশায় করে দেওয়ার প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. রশিদুল আলম।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও বর্তমানে তাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, গাজীপুর মহানগরের উল্লেখ্যযোগ্য স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উন্নতমানের কবরস্থান নির্মাণ করা হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করা হবে। তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএস/জেডএস