বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ইউরো মেরিন শিপইয়ার্ড বিল্ডার্স কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলাই বুলবুলের মৃত্যুর কারণ।
তারা আরও জানান, বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি থাকার বিষয়টি বুলবুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের লাইনম্যান বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না করে মেইন সুইচের রুম তালাবদ্ধ করে কোথাও চলে যান। রুমটি তালাবন্ধ না থাকলে হয়তো মেইন সুইচ বন্ধ করে তাকে বাঁচানো যেতো।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ইসরাত জাহান নাসরিন, কেন্দ্রীয় মহিলা যুবলীগ নেত্রী নাসরিন সুলতানা ঝরা, সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাসুদ রানা মানিক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রোবায়েত হোসেন শান্ত, নিহত বুলবুলের স্ত্রী রোকসানা আক্তার, মেয়ে রুবাইয়া, শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মশিউর রহমান শামীম, সোনারগাঁ উপজেলা পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ, সিঙ্গাপুর যুবলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ জয় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, জাহাজ তৈরির জন্য যে নিরাপত্তা, সঠিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও প্রশস্ত জায়গা থাকার কথা তা কারখানাটির নেই। অনেকগুলো জাহাজ একত্রে তৈরির কারণে যত্রতত্র বৈদ্যুতিক তার মাটিতে পড়ে আছে। বৈদ্যুতিক তারগুলো বিভিন্ন জাহাজের সঙ্গে লেগে আছে। এতে করে যে কোনো কারণে তারগুলো লিকেজ হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ইউরো মেরিন শিপইয়ার্ড বিল্ডার্সের বাল্কহেড নির্মাণ কাজের তদারকি করতে গিয়ে ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কারখানাটির ম্যানেজার শামসুল ইসলাম খাঁন বুলবুল আহত হন। আহত বুলবুলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা বুলবুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এবি