বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সরিৎ দত্তগুপ্ত নগর সভাকক্ষে ‘তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা’ শীর্ষক জরিপের প্রতিবেদন উপস্থাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ২৭৩৬টি তামাক পণ্যের ৯০ শতাংশ দোকানে তামাকের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আইন বহির্ভূত অবৈধ বিজ্ঞাপন, প্রণোদনা ও পণ্য প্রদর্শিত হওয়ার বিষয়টি জরিপ প্রতিবেদনে উঠে আসে।
‘এসিডি’র আয়োজনে ও ‘সিটিএফকে’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জরিপের ফল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এসময় জানানো হয়, গত জানুয়ারি মাসে মহানগরীর ২৭৩৬টি তামাক পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্রের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪২৪টিতে পরিচালিত জরিপের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন উঠে আসে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ মো. রজব আলী। ‘এসিডি’র মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান ও ‘সিটিএফকে’র গ্র্যান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া।
এসময় সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন, ‘এসিডি’র ডিরেক্টর (ফিনান্স) পংকজ কর্মকার, সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শাহীনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ‘তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার, প্রণোদনা’ শীর্ষক জরিপের প্রতিবেদন পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন ‘এসিডি’র অ্যাডভোকেসি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম শামীম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্যানেল মেয়র-২ মো. রজব আলী বলেন, নির্মল বায়ুর শহর হিসেবে বিশ্বের দরবারে রাজশাহী সিটি করপোরেশন পরিচিতি লাভ করেছে। আমরা নগরবাসী সবাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাই। এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নগরপিতা এএইচএম খায়রুজ্জমান লিটন রাজশাহী সিটিকে ধূমপানমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএস/এফএম