মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বের শুরুতেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে অজয় রায়কে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বর্তমানে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অজয়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হলের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। সেখানে বিভাগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ঢাবির জগন্নাথ হলে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে অজয় রায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার বেইলি রোডস্থ বাসভবনে।
অজয় রায়ের মরদেহ বাসায় নিয়ে আসার পর অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন আত্মীয়-স্বজনরা। এসময় ছোট ছেলে অনুজিৎ রায়, পুত্রবধূ কেয়া বর্মনকে সান্ত্বনা দেন উপস্থিত স্বজন, প্রতিবেশী ও গুণগ্রাহীরা৷
এখানে ইস্টার্ন হাউজিং অ্যাপার্টমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অজয় রায়ের ছেলে অনুজিৎ রায় বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে৷
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক অজয় রায়।
আরও পড়ুন>>>শেষবারের মতো নিজ বাসায় অজয় রায়
***ছেলে হত্যার বিচার দেখা হলো না অজয় রায়ের
***অধ্যাপক অজয় রায়ের জীবনাবসান
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ডিএন/এসএ