সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পৃথক শোকবার্তায় এ শোক জানানো হয়।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী একজন দক্ষ কূটনীতিক ছিলেন।
এদিকে পৃথক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস চালু করতেও অবদান রয়েছে তার।
‘সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর মতো কূটনীতিকের মৃত্যুতে দেশ ও জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ’
প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সোমবার সকালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্যা শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
মৃত্যুর খবর পেয়ে সিএমএইচে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি।
১৯৪৪ সালের ১৮ জুলাই সিলেটে জন্ম নেওয়া মোয়াজ্জেম আলী ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগ দেন। চাকরিকালে ফ্রান্স, ভুটান ও ইরানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাতিজা লসয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, পোল্যান্ড, সৌদি আরব, পাকিস্তান, পর্তুগাল, ইউনেস্কোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিজ্ঞ কূটনীতিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এমএ