রোববার (০৯ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত- ৫ এর বিচারক সোহেল রানা এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ওই মামলার বাদি জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার বাদি শাহানুর ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর জেলার বদলগাছী থানার বারোফালা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য সোহেল রানা। ওই মামলায় আমাকেসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয় ওইদিন উপস্থিত থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে মারধর ও জমি দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু সেইদিন আমি দেশের বাহিরে ছিলাম। এরপর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান ওই থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহবুর রহমান। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি ঘটনার পুরোপুরি সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালতকে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। কিন্তু ওই এএসআই সমনের কপি অভিযুক্তদের বুঝিয়ে না দিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আদালতে পাঠান।
এরপর আমাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আমরা আদালত থেকে জামিন নেই। এরপর মিথ্যা সমনের জন্য আদালতকে বিষয়টি জানায় করি। এতে আদালত আবারও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্তের নির্দেশ দিই। সেই তদন্তে স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনাটি ধরা পড়ে। আজ মামলার হাজিরা দিতে এলে আদালত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহবুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পাশাপাশি মামলার বাদি সোহেল রানাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এনটি