তিনি বলেছেন, গবেষণা করতে ভয় কেন? আমরা যে কোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারি। গবেষকদের পরামর্শ দিতে বলেছি, নিউজ করতে বলিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সোমবার কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমসহ মঙ্গলবার কয়েকটি দৈনিকে ‘সাবাইকে কচুরিপানা খাওয়ার পরামর্শ দিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
একনেক সভাশেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কচুরিপানার বিষয়ে আমার কৃষি গবেষকদের বলেছি। কাউকে কচুরিপানা খাওয়ার জন্য আমি কখনও বলি নাই। আমি বাঙালি, এই দেশের মানুষ। আমি কীভাবে কচুরিপানা খাওয়ার কথা বলি? তাহলে আমি কি কচুরিপানা খাই? আপনারাই বলেন। আমি আমার গবেষকদের গবেষণা করতে বলেছি। গবেষণা তো কত কিছু নিয়েই করা যায়। আমি শুধু কচুরিপানা নয়, কাঁঠাল ছোট করার বিষয়েও আমার গবেষকদের গবেষণা করতে বলেছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, মিডিয়ার অবাধ স্বাধীনতা আছে কিন্তু সেটা যেন শুদ্ধ চর্চা হয়। আমি আশা করি প্রিয় সাংবাদিকরা দয়া করে এই বিষয়টি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন। কারণ স্বাধীন সাংকাদিকতা মানে যা খুশি তা লিখে দেয়া নয়। সবাই যেন বিষয়টি বুঝে শুনে লিখি।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষিসহ অন্য ক্ষেত্রে গবেষণা আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছি। এর পর হাসতে হাসতে রশিকতা করে আমি গবেষকদের বললাম, আর কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কিনা দেখেন। পাশ থেকে একজন গবেষক বললেন, কচুরিপানা গরু খায় স্যার। তখন গবেষকদের কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছি। আবারও বলছি কাউকে খাওয়ার জন্য বলিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিউজ ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য সাংবাদিকেরা দুঃখ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমআইএস/এজে