ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘বিডিআর বিদ্রোহে মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
‘বিডিআর বিদ্রোহে মদদদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার’

ঢাকা: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে যারা ছিল তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন  তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে টিভি নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে এক মতবিনিময় ও রাজনৈতিক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এদিন পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের যে বিচার হয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এতো বড় ঘটনায় এতোগুলো সাক্ষী ও আসামি নিয়ে বিচারকার্য খুব কম হয়েছে।

এ কঠিন কাজটি শেষ করতে সরকার আদালতকে সহযোগিতা করেছে এবং আদালতের রায় হয়েছে। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যারা অভিযুক্ত হয়েছে তারা সাজাভোগ করছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সঠিক হয়নি, তারা ক্ষমতায় গেলে পুনরায় সঠিক বিচার করবেন, এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সবকিছুতে একটু ভুল-ত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করে। বেগম খালেজা জিয়া ও তারেক রহমানের শাস্তির বিষয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে, আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। আদালতের রায়কে কটাক্ষ করে কথা বলা, আবার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দেয়া, আন্দোলন করার চেষ্টা করা, এসব বিএনপি ক্রমাগত করে আসছে।

‘বিডিআর বিদ্রোহের দিন ভোররাতে বেগম খালেদা জিয়া তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। সেদিন তিনি রাতে এবং দিনে ৪০ বারের বেশি তার পলাতক ছেলে তারেক রহমানের সাথে কথা বলেছেন। খালেদা সচরাচর বেলা ১১-১২টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না। সেদিন কেন তিনি ভোররাতে নিরুদ্দেশ হলেন, এ রহস্যগুলো খুঁজে বের করে বিডিআর বিদ্রোহে যারা মদদ দিয়েছিল তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা দরকার। ’

এ সূত্রেই তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে এর সাথে যে তাদের সংশ্লিষ্ঠতা আছে, যেটি নিয়ে নানা মহল থেকে কথা উঠেছিল এবং বেগম জিয়ার সেদিনের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। বিডিআর বিদ্রোহের সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের বিচার হয়েছে। আমি মনে করি, পেছন থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছিল বেগম খালেজা জিয়াসহ, সেগুলো তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
জিসিজি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।