রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিজেদের চেষ্টায় ইঞ্জিনটি সচল হওয়াতে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
রেলওয়ের সূত্রে জানায়, গত ২০১৩ সালে জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় এমইআই-১৫ শ্রেণির ১১টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়।
কেলোকার প্রধান নির্বাহী (সিএক্স) মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা জানান, ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ খুলে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। কারখানার শ্রমিক-প্রকৌশলীরা সে জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
তিনি বলেন, এটা ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মেরামত ও রিকনন্ডিশনিংয়ে সফল হই আমরা। দীর্ঘ ৮ মাস অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে আমরা ইঞ্জিনটি সচল করেছি।
তিনি বলেন, দেশে এই প্রথম এ ধরনের একটি ড্যামেজ লোকোমোটিভ সচল করা সম্ভব হল।
কেলোকার একটি সূত্র মতে, ইঞ্জিনটি রিকন্ডিশনিংয়ে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি টাকা। অথচ একটি নতুন মিটারগেজ ইঞ্জিন আমদানিতে খরচ হত ৩৩ কোটি টাকা। প্রায় ৩০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করেছে সংশ্লিষ্টরা।
এ নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টোক) মো. মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী সঙ্গে। সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটিকে সচল করাকে তিনি ‘বিস্ময়কর’ ঘটনা বলে দাবি করেন। এজন্য তিনি কেলোকার শ্রমিক প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের ইঞ্জিন সংকট রয়েছে। এ ধরনের একটি ড্যামেজ ইঞ্জিন সচল হওয়ায় রেল অঙ্গনে আনন্দ বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এজে