এদিকে এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দেয়াল ভেঙে ফেলতে নোটিশ দিয়েছে কেসিসি। কিন্তু নোটিশ দেওয়ার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো দেয়াল অপসারণ করা হয়নি।
কয়েকজন এলাকাবাসী বাংলানিউজকে জানান, নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জিন্নাপাড়া এলাকায় ১৪টি গলি রয়েছে। এর মধ্যে ১২ নম্বর গলিতে গত তিন যুগ ধরে প্রায় একশ’ পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য কেসিসি নিজস্ব অর্থায়নে গলির সড়ক মেরামত করেছে। গত দুই যুগ ধরে ওই সড়কের নিচ দিয়ে ওয়াসার পানির লাইন ও ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার রয়েছে। সম্প্রতি আবদুল গফফার সরদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি কেসিসির রেকর্ডভুক্ত ৬ ফুট চওড়া রাস্তার ৩ ফুট দখল করে নিজের বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। আর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাকি ৩ ফুট সড়কের মাঝখানে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়।
তারা আরও জানান, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার পর বিষয়টি কেসিসি মেয়রকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি সড়কের ওপর থেকে দেয়াল সরিয়ে নিতে আবদুল গফফারের নামে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো তিনি দেয়াল সরাননি।
এ বিষয়ে আবদুল গফফার বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাড়ির কাজের চলছে, অল্প কিছু দিনের জন্য রাস্তাটি বন্ধ করেছি। এজন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছি। এলাকাবাসীর লিখিত সুপারিশ মেয়র ও কাউন্সিলরকে জমা দেওয়ার পর সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধ করার মৌখিক অনুমতি দিয়েছি। কাজ শেষ হলেই এ সপ্তাহের মধ্যে দেয়াল তুলে নেবো।
তবে স্থানীয় কয়েকজন জানান, আবদুল গফফার তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই রাতের বেলা দেয়াল তুলে দিয়েছেন। প্রায় ১৫/১৬ দিন হয়ে গেলেও দেয়াল সরানো হচ্ছে না। এর কারণে প্রায় ২০০ মিটার পথ ঘুরে অন্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কেসিসির এস্টেট অফিসার মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, দেয়াল সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনো দেয়াল অপসারণ করেনি। চলতি সপ্তাহেই অভিযান চালিয়ে ওই দেয়াল ভেঙে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এমআরএম/এইচএডি/