ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে নিহত ৫: মাঠে তদন্ত কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২০
খাগড়াছড়িতে নিহত ৫: মাঠে তদন্ত কমিটি নিহতদের জানাজা। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বর্ডার গার্ড বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শুরু হয়েছে  ঘটনা তদন্তে কমিটির কাজ।

বুধবার (৪ মার্চ) সকালে নিহত চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বটতলী মাঠে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষন কান্তি দাশ, পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল আলম, পৌরমেয়র মো. শামছুল হক ও মাটিরাঙ্গার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুদ্দিন ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।

পরে নিহতদের মধ্যে মুছা মিয়া (৫৫) ও তার দুই ছেলে আহমদ আলী (২৫), আলী আকবরকে (২৭) স্থানীয় ইসলামপুর কবরস্থানে এবং মফিজ মিয়াকে বটশলী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

অপরদিকে সকাল ১১টায় বরগুনার বেতাগী থানার হোসনাবাদী ইউনিয়নের দক্ষিন বাসন্ডা গ্রামে নিজ বাড়িতে বিজিবি সদস্য মো. শাওন খানের জানাজা শেষে পারিবারিকভাবে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এদিকে জানাজায় বক্তব্য দেওয়ার সময় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত প্রশাসনকে এ ঘটনায় গ্রামবাসীকে কোনো ধরনের হয়রানি না করার দাবি জানান।

তারা বলেন, গ্রামবাসীরা বিজিবির উপর হামলা করেনি। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি হাবিলদার ইসহাক গ্রামবাসীর উপর নির্বিচারে গুলি করেছে। এমন কি সহকর্মী বিজিবি সদস্যকেও গুলি করে।

ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসকের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবো। কী কারণে এবং কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেও আশাবাদী তিনি।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা তার প্রতিনিধি।

এদিকে এই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. শামছূদ্দিন ভূঁইয়া।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মাটিরাঙ্গার গাজী নগর এলাকায় স্থানীয় চাঁন মিয়ার জায়গা থেকে কয়েকটি গাছ কেটে তা ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের ৪০ বিজিবির সদস্যরা বাধা দেয়। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এতে প্রাণ হারান আহমদ আলী, আলী আকবর তাদের বাবা মুছা মিয়া, মফিজ মিয়া (৬০) ও বিজিবি সদস্য শাওন। এ সময় হানিফ নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তিনি এখন চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।