শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরায় সকালে কিছু সময়ের জন্য যাত্রী নেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত।
লিটন সাহা নামে এক যাত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে চারদিকে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্ক থাকলেও প্রয়োজনের কারণে আমাদের দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে।
অপর যাত্রী গীতা রাণী সাহা জানান, ভাইরাস নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। বন্দরে ভাইরাস শনাক্তে কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী জানান, যেহেতু বাংলাদেশে তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাই নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক ছাড়া কাউকে ভারতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশি যাত্রীদের মাস্ক ছাড়া তাদের দেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। অন্য দিনের তুলনায় যাত্রীরা অনেক সচেতন।
এদিকে, করোনা ভাইরাস রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আগামী ২৬ মার্চ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ মেরামতের জন্য জার্মানি, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে ৭০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসার কথা রয়েছে। সেই বিদেশি বিশেষজ্ঞ দলকে না আনার পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। এছাড়া কারোনা ভাইরাস আতঙ্কে জেলার কসবা সীমান্ত হাট দুই মাস বন্ধ রাখার প্রস্তাব আনা হয়েছে।
রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে করোনা ভাইরাস সচেতনা বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবনা আনা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জেলার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
আরএ