‘পার্ক’ শব্দটির সঙ্গে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের নিত্য যোগাযোগ। সেখানে নির্বিঘ্নে বা নির্ভয়ে একা বা পরিবার নিয়ে প্রকৃতিতে ঘুরে কিছুটা নিজস্ব সময় কাটানো যায়।
সে কারণে এখানে বাড়ছে ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধ। কর্তৃপক্ষও সম্পূর্ণ নীরব এ ব্যাপারে।
স্থানীয় রেঞ্জ অফিস সূত্র জানায়, শহর থেকে এ এলাকাটি বিচ্ছিন্ন এবং কোলাহলমুক্ত বলে জনসাধারণের বিচরণ অপেক্ষাকৃত কম। ৮৮৭ একর আয়তনের এ পার্কটিতে রয়েছে শাল, গর্জন, চাপালিশ, জারুল, কড়ই, জলপাই, ডুমুর, চালতা, নাগেশ্বর, বকুলসহ নানান প্রজাতির প্রাকৃতিক উদ্ভিদ।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ মিয়া বলেন, ইকোপার্ক অফিসটা এখান থেকে অনেক দূরে এবং সামনের দিকে। আর যেখান থেকে গাছগুলো কাটা হয়েছে এটা পার্কের পেছন দিক। মূলত এ দিকে নজরদারির অভাবে এ চুরির ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ছোট ছোট কয়েকটি টিলা নিয়ে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক পরিবেশে রয়েছে জীববৈচিত্র্যের সমাহার। মৌলভীবাজার শহরের স্টেডিয়ামের পেছনদিক সংলগ্ন এলাকা ঘিরেই ইকোপার্কটির শেষ সীমানা। এর পাশের ভূমি থেকে মাঝারি আকারের দু’টি চাপালিশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মাটিতে পড়ে রয়েছে গাছের মোথা। এছাড়া, এলাকাটি নির্জন হওয়ায় মাদকসেবনকারীদের অবাধ বিচরণ দেখা গেছে।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি, এ এলাকাতেই তিন বখাটের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীসহ দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর থেকেই সচেতন শহরবাসীর আলোচনায় চলে আসে পার্কের নিরাপত্তার বিষয়টি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রেঞ্জার জুলহাস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, জায়গাটি সুনির্দিষ্টভাবে বুঝতে পারছি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
** মৌলভীবাজারে দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ, আটক ৩
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
বিবিবি/এফএম