ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১২৬ পয়েন্টে ওয়াইফাই সেবা, ধাপে ধাপে ডিজিটাল হচ্ছে সিলেট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
১২৬ পয়েন্টে ওয়াইফাই সেবা, ধাপে ধাপে ডিজিটাল হচ্ছে সিলেট মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যরা।

সিলেট: ধাপে ধাপে ডিজিটাল হচ্ছে সিলেট নগর।  বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচে নেওয়া ছাড়াও স্বাস্থ্যখাতেও প্রথম ডিজিটাল পাবেন সিলেটের মানুষ। হসপিটাল হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন সার্ভিসের আওতায় ডিজিটাল সেবা মিলবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে।

১০ মার্চ সিলেটে এসে এমনটি ঘোষণা দিয়ে যান তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ওইদিন তিনি এও ঘোষণা দেন সিলেটে ১৭৪টি স্থানে ওয়াইফাই জোন টেস্টিং পর্যায়ে রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণার তিনদিন পরই সিলেটের নগরের ১২৬ পয়েন্টে ওয়াই-ফাই সেবা চালু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার  ‘ডিজিটাল সিলেট’ প্রকল্পের আওতায় নগরের ৬২ এলাকায় এই সেবা চালু করা হয়েছে।   'ডিজিটাল বাংলাদেশ' ইউজার নেইম ও 'জয় বাংলা' পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে যে কেউ ওয়াইফাই সংযোগ নিয়ে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ডিজিটাল সিলেট প্রকল্পের উদ্বোধন করেন গত বছর জুলাইয়ে। মূলত; আবুল মাল আব্দুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ড. মোমেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৫০ কোটি টাকা। আর ডিজিটাল সিলেট প্রকল্প করার গল্প সিলেটে এক সেমিনারেও তুলি ধরেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এই কাজে সহযোগিতায় উদার মতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।  

ওইদিন দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়নাধীন 'ডিজিটাল সিলেট সিটি' প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত 'পাবলিক ওয়াইফাই জোন' ও ‌'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্বলিত আইপি ক্যামেরা বেজড সার্ভেলেন্স সিস্টেম' এবং তথ্য কমিশনের উদ্যোগে বাস্তবায়িত 'তথ্য অধিকার (আরটিআই) অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম' এর পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়।

প্রকল্পের আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১১০টি ফেস রিকগনিশন ও যানবাহনের নম্বর প্লেট চিহ্নিতকরণ আইপি ক্যামেরা বসানো হয়। কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়নাধীন এই ওয়াইফাই জোনগুলো তদারকি করবে সিলেট সিটি করপোরেশন।

প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের একসঙ্গে অন্তত ৫শ জন সেবা গ্রহিতা যুক্ত থাকতে পারবেন। ব্যবহারকারীদের মধ্যে একসঙ্গে ১০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবেন। প্রতিটি এক্সেস পয়েন্টের চতুর্দিকে ১০০ মিটার এলাকায় ব্যান্ডউইথ থাকবে ১০  মেগাবাইট/সেকেন্ড।

ওয়াইফাই জোন: নগরের চৌকিদেখিতে ১টি, আম্বরখানা পয়েন্টে ৪টি, দরগা গেইটে ২টি, চৌহাট্টায় ৩টি, জিন্দাবাজারে ৪টি, বন্দরবাজার ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় ৩টি, হাসান মার্কেট এলাকায় ৫টি, সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউস এলাকায় ২টি, সার্কিট-হাউস জালালাবাদ পার্ক এলাকায় ৩টি, কিন ব্রিজের দুই প্রান্তে ৬টি, রেলস্টেশনে ৪টি, বাস টার্মিনালে ৩টি, কদমতলী পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৫টি, হুমায়ুন রশীদ চত্বরে ৩টি, আলমপুর পাসপোর্ট অফিস এলাকায় ২টি, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এলাকায় ৩টি, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ২টি, উপশহর রোজভিউ পয়েন্টে ২টি, শাহজালাল উপশহর ই-ব্লক ও বি-ব্লকে ১টি করে ২টি, টিলাগড় পয়েন্টে ৩টি, এমসি কলেজ এলাকায় ২টি, শাহী ঈদগাহ এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া এলাকায় ৩টি, কুমারপাড়া সড়কে ২টি, দক্ষিণ বালুচরে ১টি, টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১টি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।

এছাড়াও সিলেট নগরীর নাইওরপুল পয়েন্টে ২টি, মিরাবাজার সড়কে ১টি, রায়নগর এলাকায় ১টি, সোবহানীঘাট পুলিশ স্টেশন এলাকায় ২টি, ধোপাদিঘীরপাড় বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যানে ১টি, বন্দরবাজার জামে মসজিদ এলাকায় ২টি, নয়াসড়ক পয়েন্ট ও সংলগ্ন এলাকায় ৪টি, কাজীটুলা এলাকায় ২টি, চৌহাট্টা সড়কে ৩টি, হাউজিং এস্টেট সড়কে ১টি, সুবিদবাজারে ১টি, মিরের ময়দানে ১টি, পুলিশ লাইন সড়কে ১টি, রিকাবীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে ২টি, মদন মোহন কলেজ এলাকায় ১টি, মির্জাজাঙ্গাল সড়ক এলাকায় ২টি, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট এলাকায় ১টি, খুলিয়াপাড়া এলাকায় ১টি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এলাকায় ১টি, তালতলা হোটেল গুলশান এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সেতু এলাকায় ১টি, কাজিরবাজার সড়কে ২টি, খোজারখলা সিলেট টেকনিক্যাল কলেজ এলাকায় ১টি, বাগবাড়ি ওয়াপদা মহল্লা এলাকায় ১টি, পাঠানটুলায় ১টি, মদিনা মার্কেট পয়েন্টে ২টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে ২টি এবং ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় ১টি এক্সেস পয়েন্ট থাকবে।

পুরো কাজ সম্পন্নের পর ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করবে আইসিটি ডিভিশন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা মার্চ ১৪, ২০২০
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।