একইভাবে সিলেটেও রয়েছে মানুষের অবাদ বিচরণ। আর মানুষের চলাচল ঠেকাতে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকলেও সিলেট নগরে চলছে হালকা যান-সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ঠেলাগাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন।
মানুষের চলাচল বন্ধ করতে সেনা মোতায়েন করা হয়। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে ৫টার পর কেবল ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকানপাট, প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না কেউই। ফলে সিলেট জেলা প্রশাসনের ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নেমে ৯৪টি মামলার বিপরীতে এক লাখ ৭২০০ টাকা জরিমানা করেন। তারপরও জনসমাগম বন্ধ করা যাচ্ছে না।
অবশেষে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। বুধবার (৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়, বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুধু অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। এই নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষায় পরিবহন শ্রমিক নেতারা যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস, মিউম্যান হলার, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা ও হিউম্যান হলাররা এ পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করায় মানুষের চলাচল বন্ধ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। প্রশাসনও যেনো পেরে ওঠে পারছে না। ফলে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলো এবার।
এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন নিয়ম ভাঙ্গার দায়ে লোকজনকে জরিমানা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সিলেট নগরে সাতটি টিম ও উপজেলায় ১৪টিসহ ২১টি টিম অভিযান চালাচ্ছে। এসব টিম ৯৪টি মামলার বিপরীতে এক লাখ ৭ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করে। এরপরও মানুষের চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। বুধবার থেকে টিমগুলো মাঠে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এনইউ/এএটি