ডিএসসিসি সূত্র জানায়, বিভিন্ন উৎসব, যেমন- ঈদ, পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূজা, বিভিন্ন জাতীয় দিবস, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময় সড়কে মার্কিংসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করতে হয়। কিন্তু ডিএসসিসির কাছে থাকা একটি যন্ত্র দিয়ে চাহিদা পূরণ করা যায় না।
‘আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন সড়কের পটহোলস মেরামত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষ্যে যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ‘প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যেই যন্ত্রপাতি কেনা হবে। প্রকল্পের আওতায় আরও একটি রোড মার্কিং মেশিন, তিনটা আধুনিক অটোমেটিক পটহোলস প্যাচার, দুটি ফ্রিজারভ্যান (লাশবহনকারী গাড়ি) ও একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হবে।
‘প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভূক্ত এলাকায় সড়কে ট্রাফিক সাইন ও মার্কিংয়ের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ ও ট্রাফিক জ্যাম নিরসনে সহায়ক হবে।
ডিএসসিসি সূত্র আরও জানায়, বিভিন্ন প্রকারের ট্রাফিক সাইন ও মার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে পরিবহন চালকসহ নাগরিকদের সচেতন করতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইন ও মার্কিং করা হবে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনেও যন্ত্রপাতিগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও সড়ক দুর্ঘটনারোধ করে নগরাবসীদের সেবা নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যমান বিভিন্ন প্রকারের যান-যন্ত্রপাতি সুষ্ঠ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নগরবাসীর সেবা আরও বাড়বে।
ডিএসসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আনিসুর রহমান (যান্ত্রিক) বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ শহর। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। মাত্র একটি রোড মার্কিং মেশিন আছে। চাহিদার তুলনায় এটা খুবই কম। যে কারণে বিভিন্ন উৎসবে ছেলে মেয়েরা নিজ উদ্যোগে সড়কে নকশা করে। তাই প্রকল্পের আওতায় কিছু আধুনিক মেশিন কিনবো। এতে করে সড়কের সৌন্দর্যও বাড়বে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় পটহোলস মেরামতের জন্য পটহোলস প্যাচার কিনবো। ফলে সহজেই সড়ক মেরামত করা যাবে। এসবের ফলে নাগরিকের উন্নত সেবা নিশ্চিত হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
এমআইএস/এজে